আজকাল ওয়েবডেস্ক: শিশুদের অ্যানিমিয়ার একটি কারণ হল থ্যালাসেমিয়া। এতে একজনের শরীরে অ্যাডাল্ট হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যা থাকার কথা, সেটা অনেক কম থাকে। যখন সদ্যোজাতর শরীর থেকে ফিটাল হিমোগ্লোবিনের মাত্রা চলে যেতে থাকে ও অ্যাডাল্ট হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়তে থাকে তখনই সমস্যা প্রকট হয়। শিশু যখন জন্মায় তার হিমোগ্লোবিনকে বলা হয় ফিটাল হিমোগ্লোবিন। জন্মের পর সেটাই ক্রমে ক্রমে অ্যাডাল্ট হিমোগ্লোবিনে পরিণত হয়। একজন মা হচ্ছেন বা গর্ভে সন্তান রয়েছে, তখন মায়ের রক্তের গ্রুপ ও অ্যান্টিবডি স্ক্রিনিং টেস্ট করা খুব জরুরি। যদি মায়ের রক্তে কোনওরকম যায় অসামঞ্জস্য থাকে, সে ক্ষেত্রে তখনই সচেতন হওয়া সম্ভব। শিশুর অ্যানিমিয়ার সমস্যায় রক্ত দেওয়ার দরকার পড়ে না। কিন্তু উপযুক্ত চিকিৎসা খুবই জরুরি। পুষ্টির অভাবে অ্যানিমিয়া হলে সেক্ষেত্রে আয়রনজনিত খাবার খাওয়া আবশ্যক। যেমন, চিনির বদলে গুড়, খেজুর, শাক, মাংসের মেটে, মাছ খাওয়াতে হবে শিশুকে।

কখনও ফোটোথেরাপি দ্বারা চিকিৎসার দরকার হয়। তাই লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া জরুরি। না হলে শিশু শরীরে রক্তের অভাবে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে। 

বাচ্চাদের মধ্যে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। রক্তাল্পতার কারণে শরীরে লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে। হিমোগ্লোবিন হল এক ধরনের প্রোটিন যা লোহিত রক্তকণিকাকে শরীরের অন্যান্য কোষে অক্সিজেন বহন করতে দেয়। আবার নবজাতক অবস্থায় শিশু উচ্চ মাত্রার হিমোগ্লোবিন নিয়ে জন্ম নেয়। তবে ধীরে ধীরে দুই মাস বয়সের দিকে তা কমে যেতে থাকে। এটা শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এই সময় মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট। প্রয়োজনমতো লোহিত রক্তকণিকা তৈরি হতে দরকার আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি১২। শিশুর খাদ্যে এসবের অভাব থাকলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

শিশুদের রক্তাল্পতায় প্রয়োজন বিশেষ পুষ্টি। প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার, যেমন মাংস, ডিম, ফল, মাছ, সবুজ শাকসবজি এবং বীজজাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।

 লাল, বাদামি এবং সবুজ রঙের ফল ও সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। সেগুলো পর্যাপ্ত খেতে হবে। আয়রন সম্পূর্ণরূপে শোষণের জন্য সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি খাওয়াতে হবে।